৪০ আল-মুমিন ( غافر )
مَا يُجَادِلُ فِيْٓ اٰيٰتِ اللّٰهِ اِلَّا الَّذِيْنَ كَفَرُوْا فَلَا يَغْرُرْكَ تَقَلُّبُهُمْ فِى الْبِلَادِ
None but those who rejected dispute (while erroneously) using the signs of Allahh; so, do not be deluded by their oft changing, erroneous justifications for discordance in the physical existence of human beings.
বিস্ময়কর কোরআনঃ
মুহিউদ্দীন খানঃ কাফেররাই কেবল আল্লাহর আয়াত সম্পর্কে বিতর্ক করে। কাজেই নগরীসমূহে তাদের বিচরণ যেন আপনাকে বিভ্রান্তিতে না ফেলে।
الَّذينَ يَحمِلونَ العَرشَ وَمَن حَولَهُ يُسَبِّحونَ بِحَمدِ رَبِّهِم وَيُؤمِنونَ بِهِ وَيَستَغفِرونَ لِلَّذينَ آمَنوا رَبَّنا وَسِعتَ كُلَّ شَيءٍ رَحمَةً وَعِلمًا فَاغفِر لِلَّذينَ تابوا وَاتَّبَعوا سَبيلَكَ وَقِهِم عَذابَ الجَحيمِ
Those who voluntarily accept the responsibility of the divinely-guided Weltanschauung (i.e., the disciplined ‘muttaqoon’), with those delineating it (i.e., the angels), surrender to the way of their lord, and believe through that surrender, and they plead for the divine connection for those who believe. Our lord! You have made every part of the scripture capable of (holding) mercy and knowledge, and thus grant the divine connection to those who ceased (their prior erroneous ways) and followed your way, and protect them from punishment of the ‘Jaḥeem’.
বিস্ময়কর কোরআনঃ যারা স্বেচ্ছায় পবিত্রভাবে পরিচালিত জীবনবেদ এর দায়িত্ব গ্রহণ করে (অর্থাৎ, সুশৃঙ্খল ‘মুত্তাকূন’), যারা এটি বর্ণনা করে (যেমন, ফেরেশতাগণ), তাদের পালনকর্তার পথের কাছে আত্মসমর্পণ করে, সেই আত্মসমর্পণের মাধ্যমে বিশ্বাস করে এবং যারা বিশ্বাস করে তাদের জন্য তারা পবিত্র সংযোগের জন্য অনুরোধ করে। আমাদের পালনকর্তা! আপনি কিতাবের প্রতিটি অংশকে অনুগ্রহ ও জ্ঞান (ধারণ) করতে সক্ষম করেছেন এবং তাই তাদের পবিত্র সংযোগ প্রদান করুন যারা (তাদের পূর্বের ভ্রান্ত পথ) বন্ধ করেছে এবং আপনার পথ অনুসরণ করেছে এবং তাদেরকে ‘জাহিমের’ শাস্তি থেকে রক্ষা করুন।
মুহিউদ্দীন খানঃ যারা আরশ বহন করে এবং যারা তার চারপাশে আছে, তারা তাদের পালনকর্তার সপ্রশংস পবিত্রতা বর্ণনা করে, তার প্রতি বিশ্বাস স্থাপন করে এবং মুমিনদের জন্যে ক্ষমা প্রার্থনা করে বলে, হে আমাদের পালনকর্তা, আপনার রহমত ও জ্ঞান সবকিছুতে পরিব্যাপ্ত। অতএব, যারা তওবা করে এবং আপনার পথে চলে, তাদেরকে ক্ষমা করুন এবং জাহান্নামের আযাব থেকে রক্ষা করুন।
رَبَّنَا وَاَدْخِلْهُمْ جَنّٰتِ عَدْنِ ِۨالَّتِيْ وَعَدْتَّهُمْ وَمَنْ صَلَحَ مِنْ اٰبَاۤىِٕهِمْ وَاَزْوَاجِهِمْ وَذُرِّيّٰتِهِمْ ۗاِنَّكَ اَنْتَ الْعَزِيْزُ الْحَكِيْمُۙ
Our lord! And admit them into the everlasting abodes of privileged understanding which you promised them and promised those who toiled in accordance with the divine lexicon, among their forefathers, their counterparts, and their progeny. You are indeed the unassailable, the source of linguistic determination.
বিস্ময়কর কোরআনঃ আমাদের পালনকর্তা! এবং তাদেরকে বিশেষ সুবিধাপ্রাপ্ত বোঝার চিরস্থায়ী আবাসে প্রবেশ করান যা আপনি তাদের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন এবং প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন যারা পবিত্র অভিধান অনুসারে মেহনত করেছিল, তাদের পূর্বপুরুষদের মধ্যে, তাদের সমকক্ষদের মধ্যে এবং তাদের বংশধরদের মধ্যে। আপনি নিঃসন্দেহে অপ্রতিরোধ্য, ভাষাগত সংকল্পের উৎস।
মুহিউদ্দীন খানঃ হে আমাদের পালনকর্তা, আর তাদেরকে দাখিল করুন চিরকাল বসবাসের জান্নাতে, যার ওয়াদা আপনি তাদেরকে দিয়েছেন এবং তাদের বাপ-দাদা, পতি-পত্নী ও সন্তানদের মধ্যে যারা সৎকর্ম করে তাদেরকে। নিশ্চয় আপনি পরাক্রমশালী, প্রজ্ঞাময়।
وَقِهِمُ السَّيِّاٰتِۗ وَمَنْ تَقِ السَّيِّاٰتِ يَوْمَىِٕذٍ فَقَدْ رَحِمْتَهٗ ۗوَذٰلِكَ هُوَ الْفَوْزُ الْعَظِيْمُ
And safekeep them from falling into the harmful interpretation, for, he whom you safekeep from the harmful interpretation on that day, you have sustained him in your mercy. And that is the prevalent triumph.
বিস্ময়কর কোরআনঃ আর তাদেরকে ক্ষতিকর ব্যাখ্যার মধ্যে পড়া থেকে রক্ষা কর, কেননা তুমি যাকে সেদিন ক্ষতিকর ব্যাখ্যা থেকে রক্ষা কর, তাকে তুমি তোমার রহমতে টিকিয়ে রেখেছ। আর এটাই মহান বিজয়।
মুহিউদ্দীন খানঃ এবং আপনি তাদেরকে অমঙ্গল থেকে রক্ষা করুন। আপনি যাকে সেদিন অমঙ্গল থেকে রক্ষা করবেন, তার প্রতি অনুগ্রহই করবেন। এটাই মহাসাফল্য।
اِنَّ الَّذِيْنَ كَفَرُوْا يُنَادَوْنَ لَمَقْتُ اللّٰهِ اَكْبَرُ مِنْ مَّقْتِكُمْ اَنْفُسَكُمْ اِذْ تُدْعَوْنَ اِلَى الْاِيْمَانِ فَتَكْفُرُوْنَ
Those who rejected are called: “Indeed, Allahh’s abhorrence is more terrible than your self-abhorrence, when you are invited to belief, but you reject.”
বিস্ময়কর কোরআনঃ যারা প্রত্যাখ্যান করেছে তাদেরকে বলা হয়, ‘নিশ্চয় আল্লাহর ঘৃণা তোমাদের আত্মবিদ্বেষের চেয়েও ভয়াবহ, যখন তোমাদেরকে বিশ্বাসের জন্য আহ্বান করা হয়, কিন্তু তোমরা প্রত্যাখ্যান কর।
মুহিউদ্দীন খানঃ যারা কাফের তাদেরকে উচ্চঃস্বরে বলা হবে, তোমাদের নিজেদের প্রতি তোমাদের আজকের এ ক্ষোভ অপেক্ষা আল্লার ক্ষোভ অধিক ছিল, যখন তোমাদেরকে ঈমান আনতে বলা হয়েছিল, অতঃপর তোমরা কুফরী করছিল।
هُوَ الَّذِيْ يُرِيْكُمْ اٰيٰتِهٖ وَيُنَزِّلُ لَكُمْ مِّنَ السَّمَاۤءِ رِزْقًا ۗوَمَا يَتَذَكَّرُ اِلَّا مَنْ يُّنِيْبُ
He is the one who allows you to see his signs, and provides you the justification to access, exclusively from the abstract layer of understanding, a sustenance. And none remember except those who return (to the way of Allahh) in repentance.
বিস্ময়কর কোরআনঃ তিনিই তোমাদেরকে তার নিদর্শনাবলী দেখার অনুমতি দেন এবং তোমাদেরকে উপলব্ধি করার যথাযথতা প্রদান করেন, একচেটিয়াভাবে বোঝার বিমূর্ত স্তর থেকে, একটি জীবিকা। আর যারা অনুতাপ করে (আল্লাহর পথে) ফিরে আসে তারা ব্যতীত আর কেউ স্মরণ করে না।
মুহিউদ্দীন খানঃ তিনিই তোমাদেরকে তাঁর নিদর্শনাবলী দেখান এবং তোমাদের জন্যে আকাশ থেকে নাযিল করেন রুযী। চিন্তা-ভাবনা তারাই করে, যারা আল্লাহর দিকে রুজু থাকে।
رَفِيْعُ الدَّرَجٰتِ ذُو الْعَرْشِۚ يُلْقِى الرُّوْحَ مِنْ اَمْرِهٖ عَلٰى مَنْ يَّشَاۤءُ مِنْ عِبَادِهٖ لِيُنْذِرَ يَوْمَ التَّلَاقِۙ
Exalter of ranks (is Allahh), the one to whom the Weltanschauung belongs. He casts the divine message from his command upon whomever he wills of his wayfarers, that he (the selected wayfarer) may warn of the time of mutual adversarial blame
বিস্ময়কর কোরআনঃ তিনিই (আল্লাহ) সুউচ্চ মর্যাদার অধিকারী, যাঁর কাছে জীবনবেদ রয়েছে। তিনি তাঁর আদেশ থেকে পবিত্র বাণী তাঁর পথিদের মধ্যে যাকে ইচ্ছা প্রেরণ করেন, যাতে সে (নির্বাচিত পথিকটি) পারস্পরিক প্রতিকূল দোষারোপের সময় সম্পর্কে সতর্ক করতে পারে
মুহিউদ্দীন খানঃ তিনিই সুউচ্চ মর্যাদার অধিকারী, আরশের মালিক, তাঁর বান্দাদের মধ্যে যার প্রতি ইচ্ছা তত্ত্বপূর্ণ বিষয়াদি নাযিল করেন, যাতে সে সাক্ষাতের দিন সম্পর্কে সকলকে সতর্ক করে।
يَعلَمُ خائِنَةَ الأَعيُنِ وَما تُخفِي الصُّدورُ
বিস্ময়কর কোরআনঃ তিনি (আল্লাহ) জানেন সবচেয়ে সূক্ষ, চোখের বিশ্বাসঘাতকতাকারী দৃষ্টি এবং বক্ষ যা গোপন করে।
মুহিউদ্দীন খানঃ চোখের চুরি এবং অন্তরের গোপন বিষয় তিনি জানেন।
وَقالَ فِرعَونُ يا هامانُ ابنِ لي صَرحًا لَعَلّي أَبلُغُ الأَسبابَ
And Firɛaoun said: “O Hamān! Build for me a structure (palace or a monument, constructed of chopped up hands), perchance I shall accumulate the means;
বিস্ময়কর কোরআনঃ ফেরাউন বলেছিলো: “হে হামান! আমার জন্য একটি কাঠামো তৈরি করো (প্রাসাদ বা একটি সৌধ, কাটা হাত দিয়ে নির্মিত), হয়তো আমি মাধ্যমগুলি জমা করতে পারবো;
মুহিউদ্দীন খানঃ ফেরাউন বলল, হে হামান, তুমি আমার জন্যে একটি সুউচ্চ প্রাসাদ নির্মাণ কর, হয়তো আমি পৌঁছে যেতে পারব।
أَسبابَ السَّماواتِ فَأَطَّلِعَ إِلىٰ إِلٰهِ موسىٰ وَإِنّي لَأَظُنُّهُ كاذِبًا ۚ وَكَذٰلِكَ زُيِّنَ لِفِرعَونَ سوءُ عَمَلِهِ وَصُدَّ عَنِ السَّبيلِ ۚ وَما كَيدُ فِرعَونَ إِلّا في تَبابٍ
“The means of prayers heard by the heavens (i.e., that lead to the layers of understanding, as Bani IssrāꜤīl claim), and then (if their god responds, as they claim) I shall get to meet Mūssā’s god. For I am confident that he is lying!” And that was how FirƐaoun’s evil toiling was embellished for him, and how he was blocked from the way (of truth), and FirƐaoun’s scheming was not only about cutting off.
বিস্ময়কর কোরআনঃ “আকাশ থেকে শোনা প্রার্থনার মাধ্যম (অর্থাৎ, যা বোঝার স্তরের দিকে নিয়ে যায়, যেমনটি বনী ইসরাঈল দাবি করে) এবং তারপর (যদি তাদের খোদা সাড়া দেয়, যেমন তারা দাবি করে) আমি মূসার খোদার সাথে দেখা করতে পারবো।“ আর এভাবেই ফিরআউনের মন্দ পরিশ্রম তার জন্য শোভিত হয়েছিলো, এবং এভাবে তাকে (সত্যের) পথ থেকে বাধা দেওয়া হয়েছিলো, এবং ফিরআউনের ষড়যন্ত্র কেবল কেটে ফেলার জন্য ছিলো না।
মুহিউদ্দীন খানঃ আকাশের পথে, অতঃপর উঁকি মেরে দেখব মূসার আল্লাহকে। বস্তুতঃ আমি তো তাকে মিথ্যাবাদীই মনে করি। এভাবেই ফেরাউনের কাছে সুশোভিত করা হয়েছিল তার মন্দ কর্মকে এবং সোজা পথ থেকে তাকে বিরত রাখা হয়েছিল। ফেরাউনের চক্রান্ত ব্যর্থ হওয়ারই ছিল।
فَسَتَذْكُرُوْنَ مَآ اَقُوْلُ لَكُمْۗ وَاُفَوِّضُ اَمْرِيْٓ اِلَى اللّٰهِ ۗاِنَّ اللّٰهَ بَصِيْرٌ ۢبِالْعِبَادِ
And thus, you shall remember what I declare to you, and I surrender my undertaking to Allahh. Indeed, Allahh provides the insight for the wayfarers (who seek it).
বিস্ময়কর কোরআনঃ আর এভাবেই তোমরা স্মরণ করবে যা আমি তোমাদের কাছে ঘোষণা করছি এবং আমি আল্লাহর কাছে আমার অঙ্গীকার সমর্পণ করছি। নিঃসন্দেহে আল্লাহ পথিকদের কে অন্তর্দৃষ্টি দান করেন।
মুহিউদ্দীন খানঃ আমি তোমাদেরকে যা বলছি, তোমরা একদিন তা স্মরণ করবে। আমি আমার ব্যাপার আল্লাহর কাছে সমর্পণ করছি। নিশ্চয় বান্দারা আল্লাহর দৃষ্টিতে রয়েছে।
فَوَقاهُ اللَّهُ سَيِّئَاتِ ما مَكَروا ۖ وَحاقَ بِآلِ فِرعَونَ سوءُ العَذابِ
So, Allahh protected him from the harms that may result from what they deceived (and/or they schemed), and Fir3aoun’s followers were overwhelmed by a most harmful punishment:
বিস্ময়কর কোরআনঃ তাই আল্লাহ তাকে রক্ষা করেছিলেন সেই সব অনিষ্ট থেকে, যা তারা তার বিরুদ্ধে পরিকল্পনা করেছিলো এবং ফিরআউনের অনুসারীরা (অর্থাৎ যারা নিজেদের দেবতা বা জ্ঞানের উতস বলে দাবি করে) প্রাপ্যভাবে (বিচ্ছিন্নতার) শাস্তির ক্ষতি অর্জন করেছিল:
মুহিউদ্দীন খানঃ অতঃপর আল্লাহ তাকে তাদের চক্রান্তের অনিষ্ট থেকে রক্ষা করলেন এবং ফেরাউন গোত্রকে শোচনীয় আযাব গ্রাস করল।
النّارُ يُعرَضونَ عَلَيها غُدُوًّا وَعَشِيًّا ۖ وَيَومَ تَقومُ السّاعَةُ أَدخِلوا آلَ فِرعَونَ أَشَدَّ العَذابِ
The ‘Nar’ (the dimly lit, man-made illumination) to whose standard of judgment they are subjected (when the disciplined toilers enagage the scripture) in the mornings and evenings and at the time the irrigators arise to restore: “Admit the followers of Firɛaoun into the most powerful of punishment (of separation, as they deservedly earned)!”
বিস্ময়কর কোরআনঃ ‘নার’ (মনুষ্য-সৃষ্ট অস্পষ্ট আলোকসজ্জা) যার বিচারের মানদণ্ডে তারা অধীন হয় (যখন সুশৃঙ্খল মেহনতকারীরা কিতাবে নিযুক্ত হয়) সকাল এবং সন্ধ্যায় এবং সেচকারীরা পুনরুদ্ধার করার জন্য আবির্ভূত হয়: “ফেরাউনের অনুসারীদের সবচেয়ে শক্তিশালী শাস্তিতে প্রবেশ করাও (বিচ্ছিন্নতার, তাদের প্রাপ্য অর্জন হিসাবে)!”
মুহিউদ্দীন খানঃ সকালে ও সন্ধ্যায় তাদেরকে আগুনের সামনে পেশ করা হয় এবং যেদিন কেয়ামত সংঘটিত হবে, সেদিন আদেশ করা হবে, ফেরাউন গোত্রকে কঠিনতর আযাবে দাখিল কর।
اِنَّا لَنَنْصُرُ رُسُلَنَا وَالَّذِيْنَ اٰمَنُوْا فِى الْحَيٰوةِ الدُّنْيَا وَيَوْمَ يَقُوْمُ الْاَشْهَادُۙ
Indeed, we provide support to victory for our messengers and those who believed during the lower life and when the witnesses rise (to restore).
বিস্ময়কর কোরআনঃ নিঃসন্দেহ আমরা আমাদের রাসূলগণকে এবং যারা বিশ্বাস এনেছিল তাদেরকে বিজয়ের জন্য সাহায্য করি নীচু জীবনে এবং যখন সাক্ষিরা জেগে ওঠে (পুনরুদ্ধারে)।
মুহিউদ্দীন খানঃ আমি সাহায্য করব রসূলগণকে ও মুমিনগণকে পার্থিব জীবনে ও সাক্ষীদের দন্ডায়মান হওয়ার দিবসে।
النّارُ يُعرَضونَ عَلَيها غُدُوًّا وَعَشِيًّا ۖ وَيَومَ تَقومُ السّاعَةُ أَدخِلوا آلَ فِرعَونَ أَشَدَّ العَذابِ
At the time when apologies do not benefit the transgressors and to them is the (deserved) curse and is the harmful abode.
বিস্ময়কর কোরআনঃ যে সময়ে ক্ষমা প্রার্থনা সীমালংঘনকারীদের উপকারে আসে না এবং তাদের জন্য রয়েছে (প্রাপ্য) অভিশাপ এবং এটি ক্ষতিকারক আবাসস্থল।
মুহিউদ্দীন খানঃ সে দিন যালেমদের ওযর-আপত্তি কোন উপকারে আসবে না, তাদের জন্যে থাকবে অভিশাপ এবং তাদের জন্যে থাকবে মন্দ গৃহ।
لَخَلقُ السَّماواتِ وَالأَرضِ أَكبَرُ مِن خَلقِ النّاسِ وَلٰكِنَّ أَكثَرَ النّاسِ لا يَعلَمونَ
Indeed, the guidance received through engaging the layers of understanding and the scripture is more valid than the guidance received through other people, but most people do not have evidence of such knowledge.
বিস্ময়কর কোরআনঃ প্রকৃতপক্ষে, বোঝার স্তরগুলি এবং কিতাবে মেহনত করার মাধ্যমে প্রাপ্ত দিকনির্দেশনা অন্যান্য লোকেদের মাধ্যমে প্রাপ্ত দিকনির্দেশনার চেয়ে বেশি বৈধ, তবে বেশিরভাগ লোকের কাছে এই ধরনের জ্ঞানের প্রমাণ নেই।
মুহিউদ্দীন খানঃ মানুষের সৃষ্টি অপেক্ষা নভোমন্ডল ও ভূ-মন্ডলের সৃষ্টি কঠিনতর। কিন্তু অধিকাংশ মানুষ বোঝে না।
وَقالَ رَبُّكُمُ ادعوني أَستَجِب لَكُم ۚ إِنَّ الَّذينَ يَستَكبِرونَ عَن عِبادَتي سَيَدخُلونَ جَهَنَّمَ داخِرينَ
Your lord said: “Invite me (or supplicate to me), and I shall respond to you! Those who are too conceited to worship me shall be made to enter into Jahannam, accumulating more and more of their erroneous ways!”
বিস্ময়কর কোরআনঃ তোমার রব বলেছেন: “আমাকে ডাকো (আমার কাছে প্রার্থনা করো), আমি তোমার ডাকে সাড়া দেব! যারা আমার ইবাদতে করতে অহংকারী তাদের জাহান্নামে প্রবেশ করানো হবে, তাদের ভ্রান্ত পথগুলো আরও বেশি বেশি করে জমা করা হবে!
মুহিউদ্দীন খানঃ তোমাদের পালনকর্তা বলেন, তোমরা আমাকে ডাক, আমি সাড়া দেব। যারা আমার এবাদতে অহংকার করে তারা সত্বরই জাহান্নামে দাখিল হবে লাঞ্ছিত হয়ে।
هُوَ ٱلْحَىُّ لَآ إِلَـٰهَ إِلَّا هُوَ فَٱدْعُوهُ مُخْلِصِينَ لَهُ ٱلدِّينَ ۗ ٱلْحَمْدُ لِلَّهِ رَبِّ ٱلْعَـٰلَمِينَ
বিস্ময়কর কোরআনঃ তিনি জীবন্ত (সর্বোচ্চ সত্ত্বা): তিনি ছাড়া কোন উপাস্য নেই! তাঁর কাছে প্রার্থনা কর, নিশ্চিত কর যে তুমি তোমার ইবাদতে অন্য কাউকে সম্মান করবে না: সমস্ত সৃষ্টিজগতের প্রভুর প্রশংসা কর।
মুহিউদ্দীন খানঃ তিনি চিরঞ্জীব, তিনি ব্যতীত কোন উপাস্য নেই। অতএব, তাঁকে ডাক তাঁর খাঁটি এবাদতের মাধ্যমে। সমস্ত প্রশংসা বিশ্বজগতের পালনকর্তা আল্লাহর।
هُوَ الَّذي خَلَقَكُم مِن تُرابٍ ثُمَّ مِن نُطفَةٍ ثُمَّ مِن عَلَقَةٍ ثُمَّ يُخرِجُكُم طِفلًا ثُمَّ لِتَبلُغوا أَشُدَّكُم ثُمَّ لِتَكونوا شُيوخًا ۚ وَمِنكُم مَن يُتَوَفّىٰ مِن قَبلُ ۖ وَلِتَبلُغوا أَجَلًا مُسَمًّى وَلَعَلَّكُم تَعقِلونَ
He is the one who created you from ‘Turāb’ (multitude), then from a zygote (a fertilized egg), then from a clot, then he brings you out as a baby, then until you reach your toughness, then for you to become capable of judging – and some of you are recompensed earlier – and for you to reach a named duration, and perchance you engage your core.
বিস্ময়কর কোরআনঃ তিনিই তোমাদেরকে সৃষ্টি করেছেন ‘তুরাব’ (অসংখ্য) থেকে, একটি ভ্রূণ থেকে, অতঃপর জমাট বাঁধা থেকে, অতঃপর তিনি তোমাদেরকে শিশুরূপে বের করে আনেন, অতঃপর যতক্ষণ না তোমরা তোমাদের বলিষ্ঠতার কাছে পৌছাও, অতঃপর তোমরা বিচার করতে সক্ষম হও– এবং তোমাদের মধ্যে কতককে পূর্বেই প্রতিদান দেয়া হয়–এবং তোমাদের জন্য একটি নির্দিষ্ট সময়সীমায় পৌছানো, এবং সম্ভবত তোমরা (কল্ব) অন্তরকে কাজে লাগাও।
মুহিউদ্দীন খানঃ তিনি তো তোমাদের সৃষ্টি করেছেন মাটির দ্বারা, অতঃপর শুক্রবিন্দু দ্বারা, অতঃপর জমাট রক্ত দ্বারা, অতঃপর তোমাদেরকে বের করেন শিশুরূপে, অতঃপর তোমরা যৌবনে পদর্পণ কর, অতঃপর বার্ধক্যে উপনীত হও। তোমাদের কারও কারও এর পূর্বেই মৃত্যু ঘটে এবং তোমরা নির্ধারিত কালে পৌঁছ এবং তোমরা যাতে অনুধাবন কর।
هُوَ الَّذي يُحيي وَيُميتُ ۖ فَإِذا قَضىٰ أَمرًا فَإِنَّما يَقولُ لَهُ كُن فَيَكونُ
He is the one who causes life and causes death. And if he decrees any matter he says it: “Be” and it is!
বিস্ময়কর কোরআনঃ তিনিই জীবন দান করেন এবং মৃত্যু ঘটান। এবং যদি তিনি কোন বিষয়ে আদেশ করেন তবে তিনি বলেন: “হও” এবং তা হয়ে যায়!
মুহিউদ্দীন খানঃ তিনিই জীবিত করেন এবং মৃত্যু দেন। যখন তিনি কোন কাজের আদেশ করেন, তখন একথাই বলেন, হয়ে যা’-তা হয়ে যায়।
وَيُرِيْكُمْ اٰيٰتِهٖۖ فَاَيَّ اٰيٰتِ اللّٰهِ تُنْكِرُوْنَ
And he shows you his signs. Which of the signs of Allahh do you then deny?
বিস্ময়কর কোরআনঃ আর তিনি তোমাদেরকে তার নিদর্শনাবলী দেখান। অতএব তোমরা আল্লাহর কোন কোন নিদর্শনকে অস্বীকার কর?
মুহিউদ্দীন খানঃ তিনি তোমাদেরকে তাঁর নিদর্শনাবলী দেখান। অতএব, তোমরা আল্লাহর কোন কোন নিদর্শনকে অস্বীকার করবে?